Posts

Showing posts from December, 2025

সর্বনাশা মায়াবী রূপ

  সর্বনাশা মায়াবী রূপ লাল শাড়ির আঁচলে জড়ানো এক বিষাক্ত মায়াবী রূপ, তাকিয়ে থাকলে থমকে যায় সময়, চারপাশ হয়ে যায় চুপ। সে রূপে কোনো স্নিগ্ধতা নেই, আছে এক তীব্র দহন, যা আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে আমার এই তৃষ্ণার্ত মন। অধরে তোমার কামুক হাসি, চোখেতে অবহেলার রেশ, এই বৈপরীত্যেই তুমি সুন্দর—এক মায়াবী রাজকুমারী বেশ। যেন কোনো এক নিষিদ্ধ গল্পের তুমিই সেই মূল নায়িকা, যার রূপের অনলে পুড়ে ছাই হয় কত শত মনের নীলিকা। অবহেলার ওই শীতল পরশ তোমার রূপকে আরও ধারালো করে, আমি ক্ষতবিক্ষত হই রোজ তোমার ঐ রূপের মরণ-জ্বরে। না পারি তোমায় ঘৃণা করতে, না পারি তোমায় ছেড়ে যেতে, আমি আজীবন বন্দি থাকতে চাই তোমার ওই মায়ার পথে। তুমি এক অলীক কুয়াশা, এক রক্তিম আগুনের খেলা, মায়াবী এই রূপের মায়ায় কাটুক আমার একাকীত্বের বেলা। গোপন প্রিয়া, তোমার ওই অবজ্ঞা মাখানো মায়াবী মুখ, আমার সারা জীবনের দীর্ঘশ্বাস, আর আমার একমাত্র সুখ।

অবহেলার নীল বিষ

  অবহেলার নীল বিষ লাল শাড়ির ওই অগ্নিশিখায় তুমি ছিলে একাই রানী, কিন্তু চোখের সেই চাহনিতে ছিল শুধুই অবহেলার হাতছানি। কী অদ্ভুত সেই চাওয়া! যেন আমায় চিনেও তুমি চেনো না, আমার এই তপ্ত দহনের তুমি এক কানাকড়িও দাম দাও না। ঠোঁটের কোণে সেই কামুক হাসি, অথচ চোখে ছিল এক গভীর ঘৃণা, আমি একাই বয়ে চলি বুকের ভেতর যন্ত্রণার ওই ভাঙা বীণা। আমার অস্তিত্ব যেন তোমার কাছে ধুলিকণার চেয়েও তুচ্ছ, তুমি ছড়িয়ে দিলে অবহেলার বিষ, সাজিয়ে তোমার চুলের গুচ্ছ। সেই চাহনি যেন এক বরফশীতল ছুরির মতন বিঁধল বুকে, আমি তোমায় চেয়েও পাইনি, শুধু পুড়েছি তোমার মিথ্যে সুখে। অবহেলার এই দেয়াল তুলে তুমি হাসলে যখন অবজ্ঞায়, আমার গোপন ভালোবাসা তখন মরে যেতে চায় নিভৃত লজ্জায়। তবু কেন এই দহন আমার? কেন তোমায় ভুলতে পারি না? অবহেলার এই ঘাতক নেশায় কেন আমি আজীবন দিওয়ানা? গোপন প্রিয়া, তোমার ওই উপেক্ষার চাহনিই আমার শ্রেষ্ঠ ক্ষত, আমি আজন্ম সেই ব্যথাই বয়ে যাবো— এক পরাজিত প্রেমিকের মতো।

চাহনির মরণ কামড়

  চাহনির মরণ কামড় চোখ যেন এক নীল বিষাক্ত তৃষ্ণা, চাহনি তার ধারালো ছুরি, এক পলকেই আমার বুকের সবটুকু শান্তি করে চুরি। সেই চাহনিতে ছিল না কোনো সরল প্রেমের মিনতি, বরং ছিল এক উদ্ধত টান, এক অদ্ভুত ধ্বংসের সম্মতি। লাল শাড়ির আঁচল ঘেরা সেই কামুক চোখের ইশারা, মুহূর্তেই করে দিল আমায় দিকভ্রান্ত আর দিশেহারা। চোখ যেন এক মায়াবী কুয়াশা, যা আমায় আচ্ছন্ন করে রাখে, নিষিদ্ধ সেই চাওয়ায় তুমি আমায় ডাকো বুঝি নিজের দিকে? পলকহীন সেই চাহনি আমার সারা শরীরে আগুন জ্বালায়, তপ্ত নিঃশ্বাস আছড়ে পড়ে স্মৃতির কোনো গভীর ভেলায়। তুমি জানো কি প্রিয়া, ওই চোখের এক চিলতে বাঁকা চাওয়া, আমার সারা জীবনের জন্য এক দীর্ঘশ্বাসের গান হয়ে যাওয়া? গোপন প্রিয়া, তোমার ওই চাহনি যেন এক মরণ-জুয়া, যেখানে হেরে গিয়েও আমি বারবার পেতে চাই তোমার ছোঁয়া।

কাজল চোখের মরণ-ফাঁদ

  কাজল চোখের মরণ-ফাঁদ লাল শাড়ির ওই অগ্নিশিখায়, চোখ যেন এক অতল হ্রদ, যেখানে ডুবলে বাড়ে কেবল, বাঁচার তীব্র পরম সাধ। কাজল মাখানো ওই আঁখি দুটি, যেন কোনো মায়াবী বাণ, একবার তাকালেই কেড়ে নেয় আমার এই অবুঝ প্রাণ। চোখ যেন এক গভীর অরণ্য, যেখানে পথ হারানোই দায়, অচেনা এক ঘোরের টানে, মন আমার সেখানে হারায়। কখনো সেখানে শ্রাবণ মেঘের মতন সজল চাহনি ভাসে, কখনো আবার কামুক নেশায়, মুচকি মায়ায় হাসে। শাড়ির লালে আগুনের আঁচ, আর চোখেতে সুর্মা কালো, এই বৈপরীত্যেই তুমি যেন, জ্বেলে দিলে নিষিদ্ধ এক আলো। চোখ যেন এক মরণ-জুয়া, যেখানে বাজি ধরেছি বুক, তোমায় চেয়ে থাকাতেই পাই আমি, এক সুতীব্র কষ্টের সুখ। গোপন প্রিয়া, তোমার ওই চোখের গভীর ইশারায়, আমার রাতের ঘুমগুলো সব, তোমার ওই রক্তিম আঁচলে হারায়।

রক্তিম আভায় দহন

  রক্তিম আভায় দহন পরনে তোমার লাল শাড়ি , যেন আগুনের এক শিখা, আমার ধূসর ক্যানভাসে আজ কেবল তোমারি নাম লেখা। শাড়ির ভাঁজে লুকিয়ে আছে কত শত মরণ-ফাঁদ, তোমায় দেখলেই ভুলে যাই আমি পৃথিবীর সব বিবাদ। লাল রঙে আজ মিশে গেছে তোমার সেই ঠোঁটের কামুকতা, যা লণ্ডভণ্ড করে দেয় আমার মনের সকল নীরবতা। অঙ্গ জুড়ে আগুনের আঁচ, লালে লাল চারিদিক, তোমার ঐ রূপের ঝড়ে আমি দিশেহারা, আমি নির্বাক। শাড়ির আঁচল উড়িয়ে যখন হেঁটে যাও মোর পাশ দিয়ে, এক মুহূর্তের জন্য থমকে যাই আমি সবটুকু প্রাণ নিয়ে। লাল শাড়িতে তুমি যেন এক নিষিদ্ধ কোনো স্বপ্ন-পুরী, আমার রাতের ঘুমটুকু তুমি করেছো যে অতি সন্তর্পণে চুরি। গোপন প্রিয়া, এই রক্তিম সাজে তুমি বড়ই ঘাতক, তোমার ঐ রূপের নেশায় আমি এক আজন্ম চাতক। লাল শাড়ি আর ঐ তপ্ত অধরের এক অদ্ভুত মায়ায়, আমি হারিয়ে যাই রোজ তোমারি ঐ নিষিদ্ধ ছায়ায়।

তপ্ত অধরের দহন

  তপ্ত অধরের দহন তোমার ঠোঁটের ঐ বুনো নেশায়, মন বারবার পথ হারায়, একটি গভীর গোপন ক্ষত আমার সারা গায়ে ছড়ায়। সেখানে কোনো মমতা নেই, নেই কোনো শান্ত সুর, কেবল এক তৃষ্ণা আছে— যা আমায় টানে বহুদূর। নিষিদ্ধ সেই অধরে মাখানো এক অদ্ভুত মরণ-ফাঁদ, যেখানে হারাতে গেলেই বাড়ে আমার হৃদয়ের পরম সাধ। তোমার ঐ রক্তিম ছোঁয়ার আভাসে আমি রোজ জ্বলি একা, হাজারো মানুষের ভিড়েও শুধু তোমার ঐ কামুকতার দেখা। আমি জানি সে এক অনল-দহন, এক চরম আত্মাহুতি, তবুও তোমার ঠোঁটের ঐ মায়াতেই খুঁজি আমার সবটুকু শ্রুতি। একলা ঘরের অন্ধকারে যখন তোমার ঐ অবয়ব ভাসে, আমার সবটুকু সংযম যেন তোমার ঐ অধরের কাছে এসে হার মানে অনায়াসে। গোপন প্রিয়া, তোমার ওই মায়াবী আর কামুক হাসির মোহে, আমি বন্দি আজীবন, এক অতৃপ্ত প্রেমের সুতীব্র দোহে।

নিষিদ্ধ মায়ার ঘাতক

  নিষিদ্ধ মায়ার ঘাতক চোখের কাজলে ছিল মায়া, আর কথায় ছিল সুর, কিন্তু তোমার ঠোঁটে ছিল এক নেশা, যা আমায় করে বিভোর। এক চিলতে সেই ঠোঁটের কোণে লুকিয়ে ছিল কামুকতা, যা লণ্ডভণ্ড করে দেয় আমার মনের সকল নীরবতা। সেই রক্তিম অধরে যেন কোনো নিষিদ্ধ মন্ত্রের বাস, একবার তাকালেই বেড়ে যায় বুকের ধুকপুকানি আর নিঃশ্বাস। যেন আগুনের এক লেলিহান শিখা, যা পোড়ায় অতি সন্তর্পণে, তোমার ঐ ঠোঁটের ভাজে আমিই শুধু বন্দি হই প্রতিক্ষণে। অসংলগ্ন সব ভাবনা আমার, তোমার ঐ ঠোঁটের ছোঁয়ায় পথ হারায়, না ছুঁয়েও সেই তীব্র তপ্ত আঁচ আমার সারা শরীরে ছড়ায়। সে এক অদ্ভুত টান, এক মরণমুখী নেশার গভীর ঘোর, তোমার ঐ অধরেই যেন লুকিয়ে আছে আমার মুক্তি আর ডোর। প্রকাশহীন এই কামনার দহন, কেবলই আমার একান্ত নিজের, যেখানে তোমার ঠোঁটের জাদুই জয়ী হয়, বাকি সব কিছু মিছে। গোপন প্রিয়া, তোমার ওই রহস্যময় হাসির গভীর কোণে, আমি নিজেকে বিলিয়ে দিই রোজ, নিঃশব্দে আর গোপনে।

মায়াবী আবেশ

  মায়াবী আবেশ তোমার ওই চোখে যখন নীল আকাশের ছায়া পড়ে, আমার সারাটা দিন যেন এক নিমেষেই থমকে মরে। কাজল কালো ঐ দুটি আঁখি, যেন কোনো অতল দিঘি, সেখানে ডুবেই তো আমি রোজ বাঁচার স্বপ্ন লিখি। তাকিয়ে থাকলে মনে হয়, পৃথিবীটা কত যে শান্ত, তোমার চোখের মায়ায় ভুজে যায় আমার সকল ক্লান্ত। আর যখন তুমি হাসো , ঝরে পড়ে হিরের কুচি, তোমার হাসির রোদে আমার মনের সব আঁধার যায় ঘুচি। মুক্তো ঝরানো সেই হাসিতে মাতাল হয় বাতাস, এক নিমেষে বদলে যায় আমার ধূসর মেঘলা আকাশ। আমি দূর থেকে চেয়ে দেখি, আর মনে মনে ভাবি— তোমার ওই এক চিলতে হাসিই যেন আমার জান্নাতের চাবি। তোমার যখন শুনতে পাই সেই নূপুর ছোঁয়া কথা , মুহূর্তেই ভুলে যাই আমি বুকের সব জমানো ব্যথা। কণ্ঠ তোমার বীণার মতো, সুর তোলে আমার কানে, তুমি কথা বললে যেন ফুল ফোটে শুকনো কোনো বানে। অল্প কথার ভাঁজে লুকিয়ে থাকে হাজারো এক জাদু, সে জাদুতে মগ্ন হয়েই আমি তোমায় খুঁজি শুধু। তুমি হয়তো জানো না প্রিয়া, এই যে তোমার রূপের খেলা, আমার মনে রোজ বসায় একাই ভালোবাসার মেলা। চোখ, হাসি আর কথা তোমার—আমার জগত জুড়ে, আমি শুধু বন্দি থাকি তোমার ওই মায়ার ঘোরে।

হৃদয়পুরের গোপন প্রিয়া

  হৃদয়পুরের গোপন প্রিয়া আমার যত অবাধ্য শব্দ, তোমার কাছেই বন্দি থাকে, মন যে আমার নিভৃতে রোজ তোমারি এক ছবি আঁকে। তুমি আমার সেই কবিতা, যা কোনোদিন হয়নি লেখা, তুমি আমার সেই পথ চলা, যেখানে হয়নি কখনো দেখা। ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে দেখি তোমার মিষ্টি হাসির ছটা, জানতে পারো না আমার বুকে নামছে কেমন বর্ষা-ঘটা। তোমার চোখের গভীর মায়ায় আমিই শুধু ডুব দেই রোজ, তুমি তো রাখো না আমার এই গোপন প্রেমের কোনো খোঁজ। হয়তো কোনো এক চৈত্র দিনে তুমি ছিলে খুব অন্যমনস্ক, আমি তখন চোখের পলকে পড়েছিলাম তোমার মনের হরফ। তুমি আমার সেই প্রিয়া, যাকে ছোঁয়া বারণ, দেখা মানা, আমার প্রেমের আকাশ জুড়ে একলা ওড়ে তোমার ডানা। অন্য কারো গল্পে যখন তুমি হও এক রাজকুমারী, আমার আকাশ কালো হয়ে দেয় যে আমায় একাই আড়ি। তবু আমি ভালোবেসেই যাবো, কোনো দাবি বা আবদারহীন, গোপন প্রিয়া, তোমার প্রেমেই কাটুক আমার রঙিন দিন। একদিন যদি খুব অজান্তে চোখ পড়ে যায় আমার চোখে, বুঝে নিও সব অব্যক্ত ব্যথা, যা আজ লুকানো সবার চোখে। তুমি থাকবে আমার হয়েই, হৃদয়ের এই গহীন ঘরে, যেখানে প্রেম মরে না কভু, শুধু তোমার আশায় বাঁচে মরে।

কুয়াশাঘেরা গন্তব্য

  কুয়াশাঘেরা গন্তব্য দাঁড়িয়ে আছি একলা পথে, সামনে ধূসর ঘোর, জানি না কোন দিকে লুকানো আগামীর সেই ভোর। হাজার প্রশ্ন মাথার ভেতর, উত্তর নেই কারো কাছে, অনিশ্চয়তা ডালপালা মেলে বুকের ভেতর বাঁচে। আজকে যা আমার পরম আপন, কাল কি থাকবে সাথে? নাকি সবটুকু শূন্য হবে হারানো বিকেলের পাতে? ভাগ্যের এই গোলকধাঁধায় পথ খুঁজে পাই কই? নিজের ভেতর নিজেই আজ এক চরম অবিশ্বাসী সই। অস্থির এই নিঃশ্বাসগুলো কেবলই সময় গনে, অজানার এই আতঙ্ক দোল খায় অনুক্ষণে। কখনো মনে হয় সব ঠিক হবে, কখনোবা হাহাকার, অনিশ্চয়তা যেন এক দীর্ঘ কালো অন্ধকার। তবুও এই দোটানাই তো শেখায় লড়াই করে চলা, অজানাকে জয় করাতেই জীবনের আসল কথা বলা। সবকিছুর উত্তর যদি থাকতো আগে থেকেই জানা, তবে তো জীবন হতো এক ছকে বাঁধা জেলখানা। অন্ধকারকে ভয় পেয়ো না, মেঘ তো কেটে যায়ই, অনিশ্চয়তার ওপারেই হয়তো শ্রেষ্ঠ কিছু পাই। আজকের এই সংশয়টুকু ধুলোয় মিশে যাবে, ধৈর্য ধরো, সময় ঠিকই সব হিসাব বুঝিয়ে দেবে।

ব্যর্থতা মানেই জীবনের শেষ নয়, বরং এটি একটি কঠিন পাঠ যা আমাদের নতুন করে গড়তে শেখায়। ব্যর্থতার গ্লানি এবং সেই অন্ধকার থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর আকুতি নিয়ে এই কবিতাটি

  ভস্ম থেকে ফেরা সবাই যখন সাফল্যের হিসেবে মিলায় জীবন-ঘড়ি, আমি তখন ভাঙা পাল তুলে একাই যুদ্ধ করি। চেষ্টার কমতি ছিল না কোনো, ছিল না খামতি মোটেও, তবুও হার মানতে হলো জীবনের এই কঠিন তটে। আশায় বাঁধি ঘরগুলো আজ ধুলোয় মিশে গেছে, সবাই এখন দূরে সরে যায়, কেইবা পাশে আছে? ব্যর্থ মানুষের তকমা নিয়ে রাত্রি জাগার গান, ভেতরটা মোর দুমড়ে মুচড়ে হয়ে যায় খানখান। তীরে এসে যে তরী ডোবে, তার খবর কে রাখে? মানুষ কেবল বিজয়ী সেনার বিজয় নিশান আঁকে। আয়নায় দেখি যে মুখটি আজ, বড়ই অচেনা লাগে, হাজারো জেদ আর হাজারো শপথ মৃত মনে কেন জাগে? তবে কি ব্যর্থতা মানেই সব হেরে যাওয়া দূরে? নাকি এটি এক প্রস্ততি কাল নতুন কোনো সুরে? আছাড় খেয়েই মানুষ তো ভাই শিখতে পারে হাঁটা, ফুল ফোটার আগেই তো সইতে হয় শত কাঁটা। আজকের এই হারানো দিনই দেবে আগামীর পথ, আবার আমি সাজিয়ে নেব আমার ভাঙা রথ। ছাই থেকেই ফিনিক্স যেমন ওড়ে আকাশ পানে, আমিও ফিরবো বিজয়ী হয়ে— লিখবো জয়ের গানে।

অপ্রকাশিত নীল কাব্য

  অপ্রকাশিত নীল কাব্য সবাই জানুক আমার হাসি, তোমার কাছেই হারুক মন, তুমি তো নও আমার প্রিয়, তুমি আমার নিভৃত কোণ। ভিড়ের মাঝেও তোমাকে খুঁজি, আড়াল করি চোখের জল, গোপন রাখা এই প্রেমে নেই কো কোনো ছলাকলা। বুকের বাঁদিকে সযত্নে রাখা একটি নাম, একটি মুখ, তোমায় না পেয়েও ভালোবেসে যাওয়া— এ-ও এক সুখ। হয়তো কোনোদিন বলা হবে না, হবে না হাতটা ধরা, তবু তুমিময় আমার এই পৃথিবী, তোমাতেই স্বপ্ন গড়া। কাছাকাছি এসেও যোজন দূরত্ব, তুমি তো জানো না কিছু, আমি ছায়ার মতো নিঃশব্দে রোজ হাঁটি তোমার পিছু। অন্য কারো গল্পে যখন তোমার হাসি ফুটে ওঠে, আমার আকাশ কালো মেঘে তখন অজান্তেই জোটে। ব্যথা বাড়ে কি ভালোবাসলে? নাকি চুপ থাকলে বাড়ে? এই উত্তর খুঁজে পাই না আমি মনের কোনো ধারে। তুমি থেকো তোমার মতো, কারো ঘর বাঁধার আশে, আমি নাহয় থাকবো একা— তোমায় ভালোবেসে। বলা হলো না যে কথাটি আজ, থাক না তোলা থাক, গোপন প্রেমই পবিত্র হয়ে আমার হৃদয়ে পাক। কোনো এক জন্মে যদি আবার আমাদের দেখা হয়, সেদিন নাহয় মুখ ফুটে দেবো সবটুকু পরিচয়।

অনুভূতির আলপনা

  অনুভূতির আলপনা সব কথা কি মুখে বলা যায়? কিছু থাকে মনে, গোপন ব্যথার নীল ছোপ যেমন একলা ঘরের কোণে। কখনো মনটা শ্রাবণ মেঘে অঝোর ধারায় ঝরে, কখনো আবার হাসির ছলে মিথ্যে খেলা করে। বুকের বাঁদিকে চিনচিনে এক চিনতে না পারা ব্যাথা, কাগজ-কলমে ফুরিয়েও যেন ফুরোয় না কোনো কথা। কিছু অনুভূতি জোনাকির মতো ক্ষণিকের আলো জ্বালে, কিছু আবার নোঙর ফেলে স্মৃতির অতল তলে। কাউকে যখন বড্ড বেশি বলতে চাওয়া হয়, তখনি কেন যেন মনের ভেতর বাড়ে কেবল ভয়। বোঝার মতো মানুষ কই এই যান্ত্রিক শহরে? সবাই চলে যায় পাশ কাটিয়ে নিজ নিজ কুঠরে। অনুভূতিরা বড়ই বিচিত্র, বড়ই তাদের টান, কখনো তারা বিষাদমাখা, কখনো জয়ের গান। নিজের কাছেই নিজেকে আজ প্রশ্ন করতে বসি— আমি কি তবে একলা পথের বড্ড বেশি দোষী? মেঘ জমেছে মনে আমার, বৃষ্টি হয়ে নামুক, জমে থাকা সব হাহাকার এবার তবে থামুক। মনের গহীন কোণে লুকিয়ে থাকা যত গোপন চাওয়া, সবটুকু হোক ধুলোয় মেশা এক পশলা হাওয়া।

একাকীত্বের নীলাঞ্জনা

  একাকীত্বের নীলাঞ্জনা একলা আকাশ, একলা আমি, একলা ঘরের কোণ, নিজের সাথেই চলছে আমার নীরব আলাপন। শব্দরা সব হারিয়ে গেছে, মৌন মনের ভিড়ে, স্মৃতির পাখি ডানপিটে ডানা ঝাপটায় ফিরে ফিরে। ভিড়ের মাঝেও মানুষ যখন অনেক বেশি একা, বুকের ভেতর জমে ওঠে না বলা কথা লেখা। কেউ জানে না হাসির আড়ালে কতটুকু জল থাকে, কেমন করে একাকীত্ব মায়ার জাল আঁকে। তবে একা হওয়া মানেই তো নয় জীবনটা শেষ হওয়া, একা থাকা মানে নিজের মনে নিজের বসত গড়া। অন্ধকারের বুক চিরে যে একা জোছনা ঝরে, সে-ও তো দেখায় আলো কত আঁধার জয় করে। মানুষ আসে, মানুষ যায়, সময়ের এই স্রোতে, শেষ বিচারে সবাই একা নিজের আপন পথে। এই একা থাকা শিখিয়ে দেয় নিজেকে ভালোবাসতে, নিজের চোখের নোনা জল একলাই মোছাতে। ভয় পেয়ো না এই নীরবতায়, একলা চলা শিখো, একাকীত্বের পাতায় তোমার বীরত্বটাই লিখো। এই তো সময় নিজেকে খুঁজে নতুন করে পাওয়ার, একাকীত্বের গান গেয়েই হবে জয়ী হওয়া যাওয়ার।

একাকীত্বের আপন শহর

  একাকীত্বের আপন শহর নিঝুম ঘরে দেয়াল ঘড়ি টিকটিক করে বাজে, একাকীত্ব ডানা মেলেছে আমার সকল কাজে। বাইরে যখন কোলাহল আর মানুষের আনাগোনা, আমি তখন নিভৃতে বসে স্মৃতির তিল-কণা। শহর জুড়ে কত আলো, কত রঙের মেলা, আমার ঘরে থমকে আছে একলা হওয়ার বেলা। ভিড়ের মাঝেও হারিয়ে যাওয়ার এই যে এক অদ্ভুত স্বাদ, নিজের ছায়াই এখন যেন আমার পরম আহ্লাদ। একলা থাকা মানেই তো নয় বিষাদমাখা মুখ, নিজের মাঝে নিজেকে পাওয়া— সে-ও তো এক সুখ। ব্যস্ত মনের গোপন কথা কেউ কি শোনার আছে? নিজের কথা বিলিয়ে দিই তাই নিজেরই খুব কাছে। শূন্যতার এই নিস্তব্ধতা কথা বলে কানে কানে, গভীর গোপন ব্যথার সুর অন্য কেউ কি জানে? জানলা ধরে তাকিয়ে থাকা ঐ দূর আকাশ পানে, নিজের সাথে নিজের আলাপ চলে আপন তানে। একাকীত্বই শিখিয়ে দিল জীবন কাকে বলে, অন্ধকারে একলা প্রদীপ কেমন করে জ্বলে। এই নীরবতা আশীর্বাদ হোক, শান্ত হোক এই প্রাণ, একাকীত্বের সুরেই বাজুক আমার আপন গান।

সোনালি রোদের কাব্য

  সোনালি রোদের কাব্য আকাশ জুড়ে নীল আঙিনায় মেঘেরা দিয়েছে ছুটি, সকাল বেলার কাঁচা রোদে আজ হাসছে বনস্পতি। জানলা গলে একফালি রোদ নামলো আমার ঘরে, আলসেমি সব পালিয়ে বেড়ায় রোদের নূপুর স্বরে। ঘাসের ডগায় শিশির কণা মুক্তো হয়ে হাসে, মাঠের পরে মাঠ ডুবেছে রোদেরই বনবাসে। রোদেলা দুপুর মানেই তো এক স্নিগ্ধ আলোর মেলা, নদীজলে রোদের নাচন, সোনালি রঙের খেলা। একাকী ঘরের বিষাদ ধুয়ে রোদের পরশ লাগে, বুকের ভেতর নতুন করে বাঁচার আশা জাগে। সবুজ পাতায় রোদের খেলা, পাখিদের কলতান, প্রকৃতি যেন গাইছে আজ এক আনন্দেরই গান। রোদেলা দিন আমায় বলে— ক্লান্তি কিছু নয়, আন্ধার শেষে আলোর কাছেই আঁধার হবে জয়। ঝলমলে এই দিনটি যেন মায়ার চাদর বোনা, প্রতিটি রোদের কণা যেন এক একটা খাঁটি সোনা। উজ্জ্বল এই রোদের মতো জীবন উঠুক ভরে, দুঃখগুলো হারিয়ে যাক ওই দিগন্তেরই পরে। চোখ মেলে আজ তাকিয়ে দেখো, আকাশ কত বড়, রোদেলা দিনে আশার প্রদীপ মনের মাঝে গড়ো।

একলা পথের যোদ্ধা

  একলা পথের যোদ্ধা আমার লড়াই আমার সাথেই, নেই কো কোনো সাক্ষী, বুকের ভেতর জমানো ঝড়, ভিজেও ভেজে না আঁখি। বাইরে হাসির প্রলেপ মাখা, ভেতরে ক্ষতর দাগ, নিজের সাথে নিজের চলে ভীষণ অনুরাগ। সবাই দেখে কেবল আমার কতটুকু হলো জয়, কেউ দেখে না আড়াল করে কতটুকু ছিল ভয়। ভেঙে পড়া আর উঠে দাঁড়ানো— এ এক গোপন খেলা, এভাবেই তো কেটে যাচ্ছে আমার একাকী বেলা। ক্লান্ত চরণে পথ চলি আজ, চারদিকে সংশয়, নিজের কাছেই নিজেকে রোজ দিতে হয় পরিচয়। হারিয়ে ফেলার ভয়কে আমি করেছি এখন জয়, জেনেছি আমি, লড়তে জানলে পরাজয় কিছু নয়। কে সাথে আছে, কে দূরে আছে— তা নিয়ে নেই কো আক্ষেপ, নিজের ভাগ্য গড়তে আমি নিচ্ছি নিজের পদক্ষেপ। আমিই আমার শক্তি এখন, আমিই আমার ঢাল, নিজের হাতেই বদলে দেবো আগামীর এই কাল। দমে যেও না হে মন আমার, রেখো তুমি বিশ্বাস, লড়াই শেষে শান্ত হবে এই অস্থির নিঃশ্বাস। যে যুদ্ধটা একলা লড়ো, তার জয়টাও হবে খাঁটি, তোমার জয়ই চিনিয়ে দেবে তোমার পায়ের মাটি।

অক্ষরে গড়া আকাশ

  অক্ষরে গড়া আকাশ টেবিল জুড়ে বইয়ের পাহাড়, কলমদানির ভিড়, লক্ষ্য যাদের আকাশ ছোঁয়া, তারা থাকে না স্থির। হাজারো পাতা উল্টে চলে ক্লান্ত চোখের পাতা, স্বপ্নগুলো বন্দী থাকে নীল মলাটের খাতা। বন্ধুরা যখন আড্ডায় মাতে, তুমি তখন একা, তপ্ত শিখায় পুড়ছো জেনো, সাফল্যের স্বাদ পেতে। প্রতিটি সূত্র, প্রতিটি লাইন দিচ্ছে যে বড় ডাক, অলসতা আজ দূরে সরুক, পেছনে পড়ে থাক। মা-বাবার সেই আশার চোখে তাকিয়ে দেখো একবার, তোমার জয়ই মুছে দেবে তাঁদের সব হাহাকার। পড়ালেখা শুধু নম্বর নয়, নয় শুধু মুখস্থ পড়া, এ এক কঠিন সাধনা যে ভাই, নিজের ভবিষ্যৎ গড়া। রাত জাগা ঐ জোনাকি জানে তোমার মনের জেদ, অন্ধকার এই রাত শেষে আসবেই আলোর ভেদ। আজকের এই পরিশ্রম যদি বিষাদ মনে হয়, জেনো, কালকের এই জ্ঞানই দেবে তোমায় বিশ্বজয়। ধৈর্য ধরো, লড়ে যাও তুমি অক্ষরের এই রণে, বিজয় তিলক আঁকা হবে তোমার ললাট কোণে। কালিতে গড়া এই রাজপথেই আসবে তোমার দিন, জ্ঞানের আলোয় পৃথিবী হবে তোমার কাছে ঋণী।

অজেয় অভিযাত্রা

  অজেয় অভিযাত্রা আধার ঘেরা এই রজনীতে হার মেনো না তুমি, পাথুরে পথ পেরিয়েই মেলে সবুজ শস্যভূমি। ঘাম ঝরানো প্রতিটা ক্ষণ লিখছে জয়ের গান, লড়াই করেই টিকে আছে এই লড়াকু সম্মান। পিছলে পড়া মানেই তো নয় চিরতরে হেরে যাওয়া, পতন শেষে আবার ওঠে নতুন জয়ের হাওয়া। মানুষ তো সেই, যে পাহাড় দেখে হারায় না দিশা, ভোরের আলোয় কাটবেই জানি কষ্টের এই নিশা। চারপাশে সব বিদ্রূপ আর মিথ্যে বাঁধার দেয়াল, নিজের পথে অটল থেকো, রেখো নিজের খেয়াল। আগুন পুড়েই খাঁটি হয় যেমন তপ্ত সোনা, সংগ্রামেই চেনা যায় মানুষের আসল তিল-কণা। আজকের এই তপ্ত রোদে পুড়ছে যদি প্রাণ, আগামীকাল তোমার হাতেই আসবে সমাধান। বুকের ভেতর পুষে রাখো অটল বিশ্বাসী বল, সাফল্য ঠিক তোমার হবে, নেই কো কোনো চল। অন্ধকারের পরেই আসে সোনালি এক রবি, তোমার শ্রমেই আঁকা হবে জয়ের শ্রেষ্ঠ ছবি। সংগ্রাম মানেই তো থেমে যাওয়া নয় কোনোদিন, এটিই সিঁড়ি হতে পারে সেই আকাশ ছোঁয়ার রঙিন।

অলস দুপুরের কাব্য

  অলস দুপুরের কাব্য আজ নেই কোনো অ্যালার্মের সুর, নেই কোনো তাড়া, ঘুম ভাঙলেও বিছানা ছাড়তে মন যে দেয় না সাড়া। রোদ এসে আজ লুটোপুটি খায় জানলার ঐ পাশে, ছুটির দিনের মিষ্টি আমেজ ঘরেতে ভেসে আসে। চায়ের কাপে ধোঁয়া ওঠে, সাথে পুরোনো বই, বাস্তব ছেড়ে কল্পনার ঐ নীল আকাশে রই। মুঠোফোন আজ থাক দূরে পড়ে, নিভুক সব কোলাহল, নিজের সাথে সময় কাটুক, স্থির হোক মনের জল। দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামে, নামে অলস ছায়া, বারান্দা থেকে আকাশ দেখা, অদ্ভুত এক মায়া। রান্নাঘরে টুংটাং শব্দ, প্রিয় কোনো সুবাস, ছুটির দিনে হারানো সুখের মেলে যে আশ্বাস। কাজের চাপে হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে যে কতোবার, আজকের দিন শুধুই আমার, নেই কোনো কাজের ভার। একটুখানি জিরিয়ে নেওয়া, নতুন করে বাঁচা, ছুটির দিন মানেই তো মন-পাখির খোলা খাঁচা।

জলছবি ও জলছাপ

  জলছবি ও জলছাপ বাদল দিনের প্রথম কদম, স্নিগ্ধ মাটির ঘ্রাণ, জানলা ধরে তাকিয়ে আছি, উদাস ব্যাকুল প্রাণ। আকাশ জুড়ে মেঘের ঘটা, গুমরানো এক সুর, স্মৃতিরা সব পাড়ি জমায় কোন সে বহুদূর। টিনের চালে বৃষ্টির নূপুর, একটানা সেই তান, মনে পড়ে শৈশবে শোনা সেই রূপকথার গান। ভিজে একাকার ফুটবল মাঠ, কাদা-মাখা সেই হাসি, কাগজের নৌকাগুলো আজো মনে ভাসে রাশি রাশি। এক কাপ চায়ের ধোঁয়া আর জানলা-ধারের কোণ, পুরানো সব কথাদের সাথে চলছে আলাপন। যাদের সাথে ভিজেছি একা বৃষ্টির ঝাপটায়, তারা আজ সব হারিয়ে গেছে মহাকালের পাতায়। বৃষ্টি নামলে বুকের ভেতর বাড়ে একলা টান, অঝোর ধারায় ধুয়ে যায় যত জমে থাকা অভিমান। শহর ভিজে, রাস্তা ভিজে, ভিজে যায় চেনা ঘর, তবু বৃষ্টির শব্দে জাগে হারানো সেই প্রহর। দিন কেটে যায় মেঘলা মনে, বাদল শেষের টানে, কিছু স্মৃতি যে অমলিন থাকে কেবল নিজেরই মনে। বৃষ্টি আসুক বারেবারে, মনে করিয়ে দিতে— আমরা সবাই বেঁচে আছি কিছু মধুর স্মৃতিতে।

দিনের ক্যানভাস

  দিনের ক্যানভাস ভোরের আলোয় মুছে যায় সব রাতের কালো রেখা, নতুন দিনের পাতায় আবার নতুন স্বপ্ন লেখা। পাখির গানে ঘুম ভাঙে আর জাগে নতুন আশা, প্রতিটি সূর্যোদয় যেন এক মুঠো ভালোবাসা। দুপুর রোদে ক্লান্ত শহর, ব্যস্ত গতির খেলা, জীবন যুদ্ধে কেটে যায় কতো ঘাম ঝরানো বেলা। কেউ বা হাসে, কেউ বা কাঁদে, কেউ বা পথ হারায়, দিনের শেষে সবাই কেবল আপন নীড়েই ফিরায়। বিকেল বেলা শান্ত নদী, অস্তমিত রবি, আকাশ জুড়ে আঁকা থাকে রঙের মায়া ছবি। একটি দিনের মৃত্যু মানে আরেকটি দিনের আশা, সময়ের এই স্রোতে ভাসে মানুষের যাওয়া-আসা। যতই আসুক বাধা-বিপত্তি, হার মেনো না আজ, দিনের শেষে সাফল্যটাই হোক বড় কারুকাজ। প্রতিটি দিন নতুন সুযোগ, নতুন এক এক দান, সুন্দর হোক তোমার আগামীর প্রতিটি দিনমান।

বিশ্বাসের বিষাদ

  বিশ্বাসের বিষাদ যাকে ভেবেছিলে আপন ছায়া, নিবিড় আশ্রয়, সেই যে কখন তলোয়ার হাতে পথের বাঁকে রয়। হাতের ওপর হাত রেখে যে দিয়েছিল অভয় বাণী, সে-ই আজ শেষে দিয়ে গেল বুকভরা গ্লানি। মুখোশের আড়ালে হাসে এক অচেনা মানুষ, বিশ্বাসের আকাশে ওড়ে মিথ্যে রঙিন ফানুস। যাকে নিজের গোপন কথা সঁপেছিলে অনায়াসে, সে-ই আজ তোমার পতন দেখে আড়ালে হাসে। লোহার আঘাত সওয়া যায়, মোছা যায় চোখের জল, কিন্তু সওয়া যায় না প্রিয়জনের লুকানো ছলাকলা। চেনা মানুষের এই অচেনা রূপ বড় বেশি ভয়ংকর, এক নিমিষেই আপন প্রাসাদ হয়ে যায় পর। ক্ষত তো শুকিয়ে যায়, থেকে যায় গভীর দাগ, বিশ্বাসের হাড়িকাঠে বাড়ে কেবল অনুরাাগ। মানুষ চেনার এই পাঠ বড়ই তিক্ত, অতি কঠিন, বিশ্বাসের অভাবে পৃথিবী আজ বড় বেশি রঙিন।