বিশ্বাসের বিষাদ
বিশ্বাসের বিষাদ
যাকে ভেবেছিলে আপন ছায়া, নিবিড় আশ্রয়, সেই যে কখন তলোয়ার হাতে পথের বাঁকে রয়। হাতের ওপর হাত রেখে যে দিয়েছিল অভয় বাণী, সে-ই আজ শেষে দিয়ে গেল বুকভরা গ্লানি।
মুখোশের আড়ালে হাসে এক অচেনা মানুষ, বিশ্বাসের আকাশে ওড়ে মিথ্যে রঙিন ফানুস। যাকে নিজের গোপন কথা সঁপেছিলে অনায়াসে, সে-ই আজ তোমার পতন দেখে আড়ালে হাসে।
লোহার আঘাত সওয়া যায়, মোছা যায় চোখের জল, কিন্তু সওয়া যায় না প্রিয়জনের লুকানো ছলাকলা। চেনা মানুষের এই অচেনা রূপ বড় বেশি ভয়ংকর, এক নিমিষেই আপন প্রাসাদ হয়ে যায় পর।
ক্ষত তো শুকিয়ে যায়, থেকে যায় গভীর দাগ, বিশ্বাসের হাড়িকাঠে বাড়ে কেবল অনুরাাগ। মানুষ চেনার এই পাঠ বড়ই তিক্ত, অতি কঠিন, বিশ্বাসের অভাবে পৃথিবী আজ বড় বেশি রঙিন।
Comments
Post a Comment