ব্যর্থতা মানেই জীবনের শেষ নয়, বরং এটি একটি কঠিন পাঠ যা আমাদের নতুন করে গড়তে শেখায়। ব্যর্থতার গ্লানি এবং সেই অন্ধকার থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর আকুতি নিয়ে এই কবিতাটি
ভস্ম থেকে ফেরা
সবাই যখন সাফল্যের হিসেবে মিলায় জীবন-ঘড়ি, আমি তখন ভাঙা পাল তুলে একাই যুদ্ধ করি। চেষ্টার কমতি ছিল না কোনো, ছিল না খামতি মোটেও, তবুও হার মানতে হলো জীবনের এই কঠিন তটে।
আশায় বাঁধি ঘরগুলো আজ ধুলোয় মিশে গেছে, সবাই এখন দূরে সরে যায়, কেইবা পাশে আছে? ব্যর্থ মানুষের তকমা নিয়ে রাত্রি জাগার গান, ভেতরটা মোর দুমড়ে মুচড়ে হয়ে যায় খানখান।
তীরে এসে যে তরী ডোবে, তার খবর কে রাখে? মানুষ কেবল বিজয়ী সেনার বিজয় নিশান আঁকে। আয়নায় দেখি যে মুখটি আজ, বড়ই অচেনা লাগে, হাজারো জেদ আর হাজারো শপথ মৃত মনে কেন জাগে?
তবে কি ব্যর্থতা মানেই সব হেরে যাওয়া দূরে? নাকি এটি এক প্রস্ততি কাল নতুন কোনো সুরে? আছাড় খেয়েই মানুষ তো ভাই শিখতে পারে হাঁটা, ফুল ফোটার আগেই তো সইতে হয় শত কাঁটা।
আজকের এই হারানো দিনই দেবে আগামীর পথ, আবার আমি সাজিয়ে নেব আমার ভাঙা রথ। ছাই থেকেই ফিনিক্স যেমন ওড়ে আকাশ পানে, আমিও ফিরবো বিজয়ী হয়ে— লিখবো জয়ের গানে।
Comments
Post a Comment